কিশোরগঞ্জ থেকে মো. মিজানুর রহমান
কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে ঘুরতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে ডুবে আবুবক্কর সিদ্দিক রিফাত (২০) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী মারা গেছেন। ঘটনা ঘটেছে পাকুন্দিয়া উপজেলায় নতুন করে গড়ে উঠা পর্যটন কেন্দ্র চরটেকী বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে। গত ২ আগস্ট বিকালে ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে রিফাত নদের পানিতে নামলে স্রোতের টানে তিনি ব্রহ্মপুত্রে তলিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত রিফাত পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজীহাটি গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি মালোয়ারচর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে রাজিব (৩০) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনপুরে প্রিমিয়ার ব্যাংকে চাকরি করেন।
ছুটিতে বাড়িতে এসে রাজিব শ্যালক রিফাতকে সাথে নিয়ে গত ২ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মিনি কক্সবাজার খ্যাত চরটেকি বেড়িবাঁধ এলাকায় ঘুরতে যান। পরে বিকাল ৪টার দিকে রিফাত ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে নামেন। এক পর্যায়ে ব্রহ্মপুত্রের স্রোতের তোড়ে রিফাত পানিতে তলিয়ে যান। এ সময় তাঁর দুলাভাই রাজিব মিয়া তাঁকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে রাজিব নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী রাজিবকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অন্যদিকে এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রিফাতের কোনো সন্ধান না পেলে প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল তার মরদেহ উদ্ধার করে। ইউএনও মো. বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিগত ১১ জুলাই একই এলাকায় বাবা-মাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে সহোদর দুই বোন কাশ্মীর রহমান নীলা (১৭) ও ফারিহা রহমান নেহা (৯) মারা যায়। পরে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন সেখানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই জনসাধারণ স্থানটিতে ভ্রমণ করছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
